তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পেতে দুর্ভোগ-ভোগান্তির অভিযোগ অন্তহীন। দুর্ভোগ মাড়িয়েই সেবা নেওয়ার কথা প্রতিনিয়তই শুনতে হয় স্বাস্থ্য বিভাগকে। এ নিয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের মাঝে সব সময় দেখা যায় ক্ষোভ। এবার তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় এসব সমস্যা-দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিরসনে মৌলিক বিশেষ পাঁচটি ইস্যুতে নজরদারি শুরু করেছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ।
পাঁচ মৌলিক ইস্যু হলো-চিকিৎসক-নার্স ও কর্মরতদের যথাসময়ে হাসপাতালে উপস্থিত হওয়া, হাসপাতালের সামগ্রিক পরিবেশ সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, রোগীদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা, হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং হাসপাতালে থাকা টেস্টগুলো যেন অবশ্যই হাসপাতাল থেকে করাতে নিশ্চিত করা। এসব বিষয় নিশ্চিত করতে গত তিন সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিভাগের অন্তত ২৫টি হাসপাতাল সরেজমিন আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন সপ্তাহে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, আগ্রাবাদ সরকারি আরবান ডিসপেনসারি এবং কক্সবাজার, চকরিয়া, ফেনী, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় ২৫টি হাসপাতাল আকস্মিক পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনে হাসপাতালগুলোকে অনিয়ম-সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, উপজেলা পর্যায়ের মানুষদের শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেক রোগীর দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমরা চাই, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে। এতে করে রোগীরা দ্রুত সেবা পাবে, একই সঙ্গে জেলার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় ১০৩টি উপজেলায় প্রতিটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। এর মধ্যে ১৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে ছয়টি, ১০০ শয্যার হাসপাতাল আছে পাঁচটি, ২০ শয্যার হাসপাতাল আছে ১০টি ও ১০ শয্যার হাসপাতাল আছে চারটি। তা ছাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে ২৫৮টি, আরবান ডিসপেনসারি আছে ৯টি, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র আছে ৬৭৮টি এবং দুই হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। তৃণমূলের মানুষেরা এসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে।