বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কালাকানুন বাতিল, ডিএফপিকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সরকারি বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল সকালে গাজীপুরের একটি রিসোর্টে বিএফইউজের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে সহসভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, এ কে এম মোহসীন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন ও এহতেশামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান সাজু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মোদাব্বের হোসেন, অর্পনা রায়, মুহাম্মদ আবু হানিফ, ম. হামিদুল হক মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গনেশ দাশ, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী, কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল ভূঁইয়া, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজের রহমান রিপন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ, ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভার এক প্রস্তাবে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও কার্যত তা হচ্ছে না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। তাই বর্তমান সরকারকে দ্রুত নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিও ও মাল্টিমিডিয়ার জন্য অভিন্ন ওয়েজ বোর্ড করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পরও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কালো আইন বাতিল না হওয়ায় কড়া সমালোচনা করে সভায় বলা হয়, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার জন্য মামলা একটি বড় ঝুঁকি আর হয়রানির ক্ষেত্র। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী আইনগুলোকে চিহ্নিত করে বাতিল করতে হবে। আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, বেশির ভাগ পত্রিকা সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন দেয় না, যখনতখন চাকরিচ্যুতির সুবিধার্থে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিয়োগপত্র দেয় না। ছয় মাস পর চাকরি স্থয়ী করার নিয়ম থাকলেও তা মানে না। ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দেয় না ৯০ ভাগ গণমাধ্যমে। চাকরি চলে গেলে বা চাকরি ছেড়ে দিলে দেনাপাওনা পরিশোধ করে না। এ বিষয়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি। বেশির ভাগ গণমাধ্যম ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের বেতন দেয় না।
সভায় সাংবাদিকদের সপ্তাহিক ছুটি দুই দিন নির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ভোগ করে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও দুই দিন ছুটির ব্যবস্থা চালু রয়েছে।