দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগে ১০টি জেলায় ভোট কেন্দ্র ছিল ৪ হাজার ৯৮৪টি। এবার বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ১৩১টি। গত নির্বাচনে ভোটকক্ষ (বুথ) ছিল ৩০ হাজার ২৫৩টি। এবার ত্রয়োদশ নির্বাচনে তা কমিয়ে করা হয়েছে ২৭ হাজার ১৬৩টি। ফলে ভোট কেন্দ্র বেড়েছে ১৪৭টি, বিপরীতে ভোটকক্ষ কমেছে ৩ হাজার ৯০টি। এর বাইরে খুলনা অঞ্চলের অস্থায়ী ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৫৭টি থেকে ৪৯৪টি কমিয়ে করা হয়েছে ৬৬৩টি।
নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি কক্ষের বিপরীতে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ভোটকক্ষ কমানো হয়েছে। তবে এতে ভোটারদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ নির্বাচনে খুলনা অঞ্চলের আসন সংখ্যা ৩৬টি থাকলেও এবার করা হয়েছে ৩৫টি। এবার এখানে ভোটার সংখ্যা কমেছে ৪২ হাজার ৫৬৭ জন। গত নির্বাচনে বিভাগের ১০টি জেলায় মোট ভোটার ছিল ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন। এবার তা কমে হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার কমেছে ৪৭ হাজার ৮৯৫ জন। তবে নারী ভোটার বেড়েছে ৫ হাজার ২৮৪ জন। পাশাপাশি মোট ভোটার কমলেও বেড়েছে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা। জানা যায়, খুলনা জেলার ৬টি আসনে ভোট কেন্দ্র ৭৯৩টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৪০টি। ভোটকক্ষ ৪ হাজার ৭২০টি থেকে কমে হয়েছে ৪ হাজার ৮৭টি। সবচেয়ে বেশি ভোট কেন্দ্র বেড়েছে বাগেরহাট জেলায় ৬০টি। এ ছাড়া মেহেরপুরে ভোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬টি, ভোটকক্ষ কমেছে ১৭০টি, কুষ্টিয়া কেন্দ্র বেড়েছে ২১টি, ভোটকক্ষ কমেছে ৩৮৪টি, চুয়াডাঙ্গা ভোট কেন্দ্র বেড়েছে ৫টি, কক্ষ কমেছে ৩৬৯টি, ঝিনাইদহে কেন্দ্র বেড়েছে ৩টি, কক্ষ কমেছে ৩৫৩টি, যশোরে ভোট কেন্দ্র বেড়েছে ২টি, কক্ষ কমেছে ৬১০টি। তবে মাগুরায় ভোট কেন্দ্র ৫টি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোটকক্ষও ১০টি বেড়েছে। নড়াইলে কেন্দ্র বেড়েছে ১টি, ভোটকক্ষ কমেছে ১১৭টি, সাতক্ষীরায় ভোট কেন্দ্র বেড়েছে ৭টি কক্ষ কমেছে ৩৪৬টি।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, ভোট কেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর বিপরীতে কোনো অভিযোগ আপত্তি থাকলে বিবেচনা করা হবে। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহেল সামাদ জানান, গত নির্বাচনে ৪০০ জন মহিলা কিংবা ৫০০ জন পুরুষের জন্য একটি বুথ ছিল। কিন্তু এবার ৫০০ জন মহিলা কিংবা ৬০০ জন পুরুষের জন্য একটি বুথ করা হয়েছে। তবে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বুথ কমলে ভোটারদের চাপ বাড়বে। ভোট দিতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে।