বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মতোই কোনো ধরনের আপস না করে গণতন্ত্রের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’ গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পুনঃকল্পনা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা বই ‘পলিটিকস অ্যান্ড পলিসিস’-এর বিশ্লেষণধর্মী গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে ঢাকা ফোরাম ইনিশিয়েটিভ। আমীর খসরু বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের উদ্যোক্তা এবং তিনিই তা প্রবর্তন করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়া এককভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই করেছেন। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কোনোরকম আপস করেননি। পরবর্তীতে তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া উভয়েই ১৫-১৭ বছর ধরে সেই গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমান গণতন্ত্রের সেই বাতি বহন করছেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটি নির্দিষ্ট সময়ের ট্রেনের যাত্রার মতো। অন্তর্বর্তী সরকার হলো সেই ট্রেনের চালক, যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি জনগণকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট গন্তব্যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৌঁছে দেবেন। আর বিএনপি হলো সেই যাত্রী যারা দ্রুত যাত্রা শেষ করার তাগিদ দিচ্ছে এবং যাত্রার মান অর্থাৎ নির্বাচনপ্রক্রিয়া যেন সঠিক থাকে, সে ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখছে।’
তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, ‘তারেক রহমানের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা হয়েছিল তৃণমূল থেকে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলা বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে। তাঁর নেতৃত্ব দল এবং দেশকে এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, যার প্রতিফলন গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দেখা গেছে।’
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখানে আগামী নেতৃত্বের জন্য তারেক রহমানই একমাত্র অপশন।’
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুল আহসান।
আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জান্নাত। ভিডিও বার্তায় বিশেষ বক্তব্য দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার প্রপৌত্রী এনডিলেকা ম্যান্ডেলা।