বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারতের সেনাঘাঁটি নির্মাণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে জানিয়েছে স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ। সংগঠনটির দাবি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে ভারত। সোমবার সংগঠনটির সদস্যসচিব শামস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই মাসে গণ অভ্যুত্থানে ভারতীয় এজেন্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কার্যত বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া, গণ অভ্যুত্থান দমনে স্নাইপার শট ব্যবহারসহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়েও যখন তারা ব্যর্থ হয়েছে, তখন তথ্যযুদ্ধ ও পানি ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এরপরও সফল না হয়ে এখন সীমান্তে সেনা ঘাঁটি নির্মাণের মাধ্যমে দেশটি নতুন ষড়যন্ত্রে জড়িয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত তিনটি সেনা ঘাঁটি ও স্টেশন তৈরি করেছে। এর মধ্যে কিছু ঘাঁটি সীমান্তের এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সামরিক কার্যক্রমের আগে প্রতিবেশী দেশকে জানাতে হয়। কিন্তু কোনো তথ্য না জানিয়ে ঘাঁটি নির্মাণ বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো আলোচনা বা উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারও যেন নীরব ভূমিকা পালন করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এ বিষয়ে কোনো কার্যক্রম নেই, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অশনি সংকেত। বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে ভারতের কাছে জানতে চাইতে হবে- সীমান্তের এত কাছে কেন এসব ঘাঁটি ও স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে?
সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে, ভারতের সীমান্ত এলাকায় ক্যান্টনমেন্টের বিপরীতে বাংলাদেশের পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চিকেন নেক এলাকায় নতুন ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করতে হবে।
প্রয়োজনে কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ক্যান্টনমেন্ট স্থানান্তর করে সীমান্ত অঞ্চলে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি দেশপ্রেমিক ও ভারতের প্রভাবমুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সীমান্তে পদায়ন করতে হবে।