ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে সরকারি তিতুমীর কলেজে ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও পেটানো হয়েছে। শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ পিটুনি দেন। এতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক তাওসিফ মাইমুন, ডেইলি ক্যাম্পাসের কলেজ প্রতিনিধি মো. আল আমিন ও তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য মো. সাদিকুল ইসলাম আহত হন। পরে তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত তাওসিফ মাইমুন বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে কলেজটির প্রধান ফটকে মানববন্ধন করতে গেলে আবারও হামলা চালায় ছাত্রদল। সাংবাদিকদের ওপর সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের এমন অসহিষ্ণু আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলেজের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে হামলায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শনিবার কলেজের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার টাঙায় শাখা ছাত্রশিবির। তাদের টাঙানো ব্যানার ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছিঁড়ে ফেলেন। ?এ ঘটনায় পুনরায় ব্যানার টাঙাতে ক্যাম্পাসে যান শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিক সাদিকুল পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। সাদিকুলকে রক্ষা করতে গেলে তাওসিফ ও অপরজনকেও বেধড়ক পেটানো হয়। ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিবিরের ব্যানারে মূল ফটকের ম্যুরাল ঢেকে যায়। এর প্রতিবাদ করায় হামলা চালিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত করে শিবির।
আহত সাংবাদিক তাওসিফ মাইমুন বলেন, সাংবাদিক সমিতির সামনে লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর কলেজের ছাত্রী নিবাসের গেটের সামনে থেকে আমাকে টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের মাঠে নিয়ে আবারও মারধর করা হয়। ওই সময় তারা আমার মানিব্যাগ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত সাংবাদিকরা জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন, সদস্যসচিব সেলিম রেজা ও আরিফ মোল্লার অনুসারী। হামলায় অংশ নেয়- হারুন আর রশিদ, আতিক জলিল, মো. আল-আমিন, মামুন হলের সভাপতি আফ্রিদি, রকনুজ্জান, রাকিব, নূরুল আমিন, মেহেদী হাসান ম্যাক্স, আলিফ, আবিদ হোসেন নাইমসহ আরও ২৫-৩০ জন ছাত্রদলের নেতা-কর্মী। বনানী থানার ওসি রাসেল সারওয়ার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।