করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) নিয়ে দিনাজপুরে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্ততি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস। জেলায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জন্য দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলায় ২৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি নবনির্মিত হাসপাতালকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে একটি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে চিকিৎসকে ঢাকা থেকে করোনা ভাইরাস বিষয়ে প্রশক্ষিণ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন চিকিৎসক ও নার্সদের অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্টদের নিয়ে আইসিইউ গঠনের সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সনাক্তে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে রেপিড রেস্পন্স ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সেখানে ৪জন বিশেষজ্ঞকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও এর দায়িত্বে রয়েছেন। যদি করোনা ভাইরাস সম্পকির্ত কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে বিশেষজ্ঞরাই এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঢাকায় নিয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি সনাক্ত হয় বা সন্দেহ হয় তাহলে কাহারোল উপজেলায় তাদের স্থান্তর করা হবে। এছাড়াও জেলার সকল জায়গায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ ও হট লাইন চালু করা হয়েছে।
দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আহাদ আলী বলেন, ‘আমরা করোনা ভাইস নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। যদিও এখন পর্যন্ত দিনাজপুরে করোনা ভাইরাস কিংবা এরূপ কোন ব্যক্তি সনাক্ত হয়নি। সদর হাসপাতালের সকল চিকিৎক, নার্স ও কর্মকর্তাদের করোনা ভাইরাস বিষয়ে আগামী ১২ মার্চ একদিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কদ্দুস বলেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে ইতোমধ্যেই আমরা পুরো জেলায় একটি ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। কাহারোল উপজেলায় নবনির্মিত একটি ২৫ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়াও পাবর্তীপুর উপজেলার ল্যাম্ব হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আলাদা পরিচর্যা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
সতর্কতার বিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, আমরা এর মধ্যেই দুই দফা আলোচনা করেছি। জেলা পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও’দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার