ঠিকানা পরিবর্তনের তথ্য অভিবাসন দপ্তরকে অবহিত না করায় সোম ও মঙ্গলবার ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়া স্টেটে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা নিউইয়র্কে অবতরণের পরই রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন। সেই সূত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সও রয়েছে। অর্থাৎ সবকিছু প্রসেসিংয়ে রয়েছে। এমনি অবস্থায় তাঁরা নিউইয়র্ক ছেড়ে একজন জর্জিয়ার আটলান্টা এবং অন্যজন ফ্লোরিডার মায়ামিতে গেছেন। নিউইয়র্কে অভিবাসনবিষয়ক খ্যাতনামা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, আটলান্টায় গাড়ি চালানোর সময় রেড লাইট অতিক্রমকালে একজনকে আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। সে সময় উদ্ঘাটিত হয় যে তিনি নিউইয়র্কের বাসিন্দা। কিন্তু বাস করছেন আটলান্টায়। ঠিকানা পরিবর্তনের তথ্য অবহিত করেননি অভিবাসন দপ্তরকে। সঙ্গে সঙ্গে আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) তাঁকে ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়েছে। এখন চলছে তাঁকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া। একই ঘটনা মায়ামিতেও ঘটেছে। নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানোর সময় টহল পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর ওই প্রবাসীর আমেরিকান স্বপ্ন তছনছ হওয়ার পথে। অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, গ্রিনকার্ডধারীরাও নানান পরিস্থিতিতে ভিকটিম হচ্ছেন। তাই সবাইকে খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনাকারীরা ঠিকানা পরিবর্তন করলেই তা জানাতে হবে কর্তৃপক্ষকে। চলাফেরায় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন সর্বগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়েছে অভিবাসী তাড়ানোর জন্য।