যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা ১০৫।
নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও জানান, শহরের ৮৫ লাখ মানুষকে 'নিজ অবস্থানে আশ্রয় নিতে' নির্দেশ দেবেন কিনা, সে বিষয়ে দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এ ধরণের পদক্ষেপের ফলে সিংহভাগ মানুষ তাদের বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। তবে এরকম অবস্থায় খাবার দাবার বা ওষুধ কিনতে অথবা ব্যায়াম করা বা কুকুরকে হাঁটানোর মত কাজে বাইরে বের হতে পারবেন, কিন্তু মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
স্যান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার কর্তৃপক্ষ ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন রাজ্যের গভর্নরদের অনুরোধে ভাইরাস আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মাঠ পর্যায়ে হাসপাতাল তৈরি করার নির্দেশ দিতে পারে হোয়াইট হাউজ।
পেন্টাগন প্রধান মার্ক এস্পার জানিয়েছেন শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়ক ৫০ লাখ মাস্ক এবং ২ হাজার ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য বিভাগকে দেবে সেনাবাহিনী।
তিনি জানিয়েছেন, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনী তাদের ১৪টি অনুমোদিত করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার গবেষণাগারও উন্মুক্ত করে দেবে।
এদিকে, আমেরিকার দীর্ঘতম সময় ধরে চলা স্পোর্টস ইভেন্ট ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা কেন্টাকি ডার্বি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর আগেই বাতিল করা হয় মাস্টার্স গলফ টুর্নামেন্ট, মার্চ ম্যাডনেস বাস্কেটবল এবং বেসবলের মৌসুম।
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইনডোর শপিং সেন্টার মিনেসোটার মল অব আমেরিকা জানিয়েছে তাদের সুবিধা মার্চ মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
জেলখানায় একসাথে বেশি মানুষ যেন না রাখতে হয় তা নিশ্চিত করতে লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির শেরিফ গ্রেফতারের পরিমাণ কমাতে নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন