সম্প্রতি পটুয়াখালী জেলার ১১শ প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন। এর মধ্যে ২৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অন্যদের অবস্থান নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জরুরি সভায় জানানো হয়, গতকাল ২১ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলো। আজ নতুন করে ২ জন প্রবাসী হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩ জনকে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সম্প্রতি পটুয়াখালী জেলার ১১০০ জন প্রবাসী বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কতজন লোক জেলায় এসেছেন তার সঠিক তালিকা তৈরির কাজ চলছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছে। ওই এলাকায় কোনো প্রবাসী আসছে কিনা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। তারা কোয়ারান্টাইন এ আছে কি না সেটা তারা প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহরে নবনির্মিত চারতলা বিশিষ্ট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবনে ইতিমধ্যে ৪০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ চলছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই, প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করার কাজ চলছে। বিশেষ করে এই রোগে বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হবে। আমাদের সচেতন হতে হবে, যাতে এই ভাইরাস আমাদের আক্রমণ করতে না পারে।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু কোচিং বন্ধ থাকবে। যে কোনো জমায়েত যেমন বিবাহ, মেলাসহ সকল ধরনের জনসমাগম হয়, এমন অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন