এ বছরের মার্চ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বিদেশ থেকে রাজবাড়ীতে এসেছেন ১৬৮৩ জন। এদের মধ্যে ১৮ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মাত্র ৬১ জন। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারেনি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৩১ জন।
বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত রাজবাড়ী জেলা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন বিদেশ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ৩১ জন, পাংশা উপজেলার ২০ জন, কালুখালী উপজেলার ৮ জন এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার ৪১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলাতে বিদেশ থেকে আসা কোন ব্যক্তি না থাকার কারণে সেখানে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি।
সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলায় দুইটি কেবিনকে আইসোলেশন কর্ণার হিসাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় একজন রোগীর সাথে ৪-৫ জন ব্যক্তি হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, হাসাপাতালে রোগীর সাথে আসা স্বজনদের সংখ্যার ব্যাপারে কোন আইন না থাকার কারণে এমন হচ্ছে। তবে সচেতনতার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৬৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হবে না। অনেকে বিদেশ থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টাইনে ভয়ে আত্মীয়-স্বজন বাড়ি বেড়াতে গিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে সভায় উপস্থিত থাকা এক ডাক্তার জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আজকের পঞ্চম সভাতে অনেকের হাসিমুখ থাকলেও আগামী সভায় অনেকের হাসিমুখ নাও থাকতে পারে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি দিলসাদ বেগম বলেন, রাজবাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬১ জনকে রাখা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা আরো ১৬২২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যাপারে সিধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। কে কোন দেশ থেকে এসেছে তাদের এবং তাদের পরিবারকে শনাক্ত করে দ্রুত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল