করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শরীয়তপুরে বিদেশফেরত ২ হাজার ৮৩৮ জনকে খুঁজছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে পৃথকবাস) থাকার কথা। কিন্তু তারা সে নির্দেশনা মানছেন না। এখন তাদের খুঁজে বের করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৮৩৮ জন শরীয়তপুরে এসেছেন। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন থেকে শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে এই তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে শরীয়তপুর সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব রোধে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজনে করা হয়।
এ সময় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা খোকন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দা শাহিনুর নাজিয়া, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ, শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা ইপিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. মোজাম্মেল হক, সদর উপজেলার মেডিকেল টেকনলজিস্ট ইপিআই আমির হোসেনসহ জেলার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ ৩৬৩ জন প্রবাসী শরীয়তপুরে এসেছেন। এদের মধ্যে ১৪ দিন পার হওয়ার পর ৮১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শরীয়তপুরে হোম কোয়ারান্টাইনে আছে ২৮২ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হোম কোয়ারান্টাইনে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৪৬জন। আজ ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানিকভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও হোম কোয়ারেন্টাইনে এখন পর্যন্ত কাউকে রাখা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার