বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে মসজিদে নামাজ বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মসজিদে নামাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত না হলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনদের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ যেকোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বা জনসমাগমে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, আপাতত ট্র্যান্সপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই। তবে কারো জ্বর, সর্দি-কাশি হলে তাদের বাইরে যাতায়াত না করতে বলা হয়েছে।
সাধারণ জনগণের মধ্যে যাদের জ্বর, সর্দি-কাশি তাদেরও এ নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনগণসহ প্রশাসনকে কঠোর ও তৎপর হতে বলা হয়েছে।
এ কনফারেন্সে একই সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে, তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোর ভাবে মানতে হবে নইলে পুরো জাতিকে এ জন্য ভুগতে হবে।
গত তিন মাসে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদের তালিকা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। যাতে এসব ব্যক্তিকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বাস্থ্যসচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম