কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় তৎপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জানা যায়, নাঙ্গলকোটে এ পর্যন্ত ১১ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রবাসীরা যাতে সঠিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম-নীতি মেনে চলেন এজন্য প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে এবং স্কাউটদের মাধ্যমে পৃথক কমিটি করে যাবতীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬ প্রবাসীর বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নাঙ্গলকোটের সকল প্রবাসীর বাড়ি যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে মাইকিং করা হয়েছে। যে কোন সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং এবং জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল বলেন, আমি নাঙ্গলকোটে কাজ করতে এসেছি। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক