করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দিনাজপুরে জনসমাগম এড়াতে মাঠে নানামুখি তৎপরতা চালাচ্ছেন সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা।
দিনাজপুর জেলায় যাত্রী পরিবহনসহ যান চলাচল নিরুৎসাহিত করতে রাস্তায় রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছেন তারা। জটলা ভাঙ্গতে মৃদু লাঠিপেটার পথ ধরেছে পুলিশ। এতে ঘরে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরে বেড়ানো প্রকৃতির মানুষেরা।
টহল দেওয়ার পাশাপাশি করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা। মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায় সেজন্য সড়কে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
কাহারোলে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম মনিটরিং ও প্রতিহত করা হয় এবং ৩ জন চালককে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে, শহর ঘুরে দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই করোনা প্রাদুর্ভাবে সতর্কতা হিসাবে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যাত্রী পরিবহন যানবাহনসহ জন চলাচল নিরুৎসাহিত করতে রাস্তায় রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছেন তারা। এতে ঘরে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে ঘুরে বেড়ানো মানুষেরা। টহল দেওয়ার পাশাপাশি করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে হ্যান্ড মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা। দোকানপাট বন্ধ ঘোষণাসহ জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে সাপ্তাহিক হাট-বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বেচা-কেনা যেমন ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান, কাচাঁবাজার, মুদিখানা ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন। পাশাপাশি দিনাজপুরে ক্রমে বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনসহ ৩৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম