করোনা পজেটিভ এক চীনা নারী অস্ট্রেলিয়ার সুপার মার্কেটে ফল ও শাকসবজিতে থুথু দেয়ার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। সিডনি সুপার মার্কেটে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটি প্রথমে টিকটকে পোস্ট করা হয়েছিল পরে তা সরানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ ভিডিওটি টুইটারে ক্যাপশনসহ পোস্ট করেন বিতর্কিত অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব স্যাম নিউম্যান। ক্যাপশনে তিনি লিখেন, "বর্ণবাদী", শুনেছি আপনি চিৎকার করছেন।" পরে অবশ্য তিনি টুইটটি মুছে ফেলেন।অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীই বলছেন, দুইটি ঘটনাকে এক সঙ্গে এডিট করার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৫৪ বছর বয়সী একজন নারী সিডনি সুপার মার্কেটে শপিং করে গিয়ে ফল ও শাকসবজিতে থুথু দেন। বিষয়টি ওই সুপার শপের সিসি ক্যামারায় ধরা পড়ে। এরপরই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। তবে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে জানা গেছে যে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পৃথক ঘটনা থেকে দু'জন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিডিওটি এডিট করা হয়েছিল। ভিডিও'র প্রথম অংশটি সিডনির উত্তরে অবস্থিত গর্ডনের।
গত ১৯ মার্চ ওই নারী পুলিশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করা হলেও পরে বিনা অভিযোগে ছেড়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে, ভিডিওটির দ্বিতীয় অংশটি হলো-একটি সুপার মার্কেটে মধ্য বয়সী নারী কলা খোসা ছড়াচ্ছিলেন। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ অস্পষ্ট। উভয় নারীকে একই বলে দাবি করা প্রতিবেদনগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
কিছু ব্যবহারকারীরা বলছেন, যে উভয় নারীই আলাদা পোশাক পরেছিলেন। ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণবাদী টুইট এবং ভিডিওগুলো তাকে "চাইনিজ" বলে ডাকা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে বিভক্ত হতে শুরু করে।
যে ভিডিও ক্লিপটিতে নারীকে শপিং ব্যাগ ধরে থাকতে দেখা যায়, সেখানে পুলিশকে বলতে শোনা গেছে আপনার হাত দিন। সেই সময় ওই নারী পুলিশকে হাত ধরতে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। পুলিশকে বলতে শোনা গেছে, আপনি গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছেন, আপনি কি তা বুঝতে পারছেন? উত্তরে ওই নারী চিৎকার দিয়ে বলেন, "আমি কোনও ভুল করিনি"।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের একজন মুখপাত্র ডেইলি মেইলকে বলেন, সুপার মার্কেট ছাড়ার জন্য পুলিশের অনুরোধ না রাখায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সুপার মার্কেটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করায় তাকে গ্র্রেফতার করে তাকে স্থানীয় গর্ডন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ওই নারী। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ডেইলি মেইলকে বলেন, দুটি ঘটনাই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত