৫ এপ্রিল, ২০২০ ১২:২৩
করোনাভাইরাস মোকাবেলা কার্যক্রম ব্যাহতের আশঙ্কা

ধামরাইয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা থাকছেন না কর্মস্থলে

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি


ধামরাইয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা থাকছেন না কর্মস্থলে

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ধামরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাসিন্দারা যেমন সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা অমান্য করে চলেছে, তেমনিভাবে অমান্য করে চলেছে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক থাকা কথা। এ বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংস্থাপন অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের ২২ মার্চ স্বাক্ষরিত নিদের্শনাও রয়েছে।

কিন্তু  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কৃষি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাড়া প্রায় দপ্তরের কর্মকর্তারাই থাকছেন না কর্মস্থলে। এতে ধামরাইয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারের নিদের্শনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হিমশিমের মধ্যে পড়েছে উপজেলা প্রশাসন।

কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পেলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক তার দপ্তরের কর্মচারী ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।

এদিকে, ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির নিজে করোনা মোকাবেলায় হ্যান্ড মাইকসহ তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে  রাস্তায় নেমে এসেছেন। তিনি করোনা মোকাবেলার জন্য একটি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছেন এবং ধামরাইবাসীকে সুস্থ রাখতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কঠোর নির্দেশ দিচ্ছেন।

ধামরাইয়ের ইউএনও সামিউল হক বলেন, কর্মকর্তাদের থাকার আবাসিক ভবন বয়েছে কিন্তু কেউ থাকে না, সব ফাঁকা। সরকারের নিদের্শনানুযায়ী সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার বিষয়ে প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কর্মস্থলে নেই। তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে আরও সহজ হতো।

গত কয়েকদিনে পাঁচ হাজার কর্মহীনসহ নানা পেশার মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

তবে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক কর্মহীন মানুষ এখনো সরকারি ত্রাণ পায়নি বলে জানা গেছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

সর্বশেষ খবর