মুন্সীগঞ্জে গতকাল শনিবার একই দিনে ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলো। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং বাকীদের বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ নতুন করে জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছে। তিনি গত ১০ তারিখে নারায়ণগঞ্জে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাকে এনে দাফন করা হয়। এর আগে তার নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। আজকে তার রির্পোটে করোনা পজেটিভ আসে। তাছাড়া গজারিয়া উপজেলায়ও একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী ঢাকার মিরপুর এবং পার্শবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে থেকে সংক্রামিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, জেলাকে সিল করা হয়েছে। জেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নৌপথেও টহল জোরদার করেছে নৌ পুলিশ। বন্ধ রয়েছে নৌপথে সকল প্রকার যান চলাচল। জেলার বাইরের কোন গাড়ি এবং মানুষ শহরে প্রবেশ করতে না পেরে সেজন্য চেকপোস্টের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে শহরে যানচলাচল কম থাকলেও বেড়েছে পায়ে হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যা। বিভিন্ন স্থানে সরকারি ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রির দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্ব। মুন্সীগঞ্জ শহরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের দুইজনের করোনা রোগ শনাক্ত হয়েছে। তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে নিয়মিত ক্লিনিক পরিচালনা করত। এ জন্য আজ সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি ওই প্রতিষ্ঠানে উপরে থাকা আরেকটি বেসরকারি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারটিও বন্ধ করে দেন। এ সময় দু'টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ