চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসবা প্রতিষ্ঠান মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে এবার প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবায় ভ্যান্টিলেটর সুবিধাসহ ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। থাকবে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও ফ্লু কর্নার। করোনা ওয়ার্ড করার জন্য প্রাথমিকভাবে এক কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। গত শনিবার বিকালে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক সপ্তাহ পর পরিকল্পিত সেবা শুরু করার কথা। এর আগে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকেও প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ শয্যার ১৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এটির সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চলছে। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রকোপের এ সময়ে হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে চালু হবে ‘ফ্লু কর্ণার’ এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাসহ প্রি-আইসোলেশন ওয়ার্ড। ফ্লু রোগীদের দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। এ কর্নারে থেকেই করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হবে। কেউ আক্রান্ত হলে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় নতুন হাসপাতাল ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হবে। ওয়ার্ডটি বর্তমান হাসপাতাল ভবন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক রাখা হবে।
মা ও শিশু হাসপাাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘এখন চলছে বৈশ্বিক মহামারি। এই মুহুর্তে আমাদের বহুতল বিশিষ্ট নির্মিত ভবনে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দুর্যোগ মুহুর্তে আমরা চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি এক কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনার প্রতি আনুগত্য রেখে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করা হচ্ছে। আমাদের নির্ধারিত অর্থ বিত্তবানদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। রবিবার রাত পর্যন্ত তিনজন শভানুধ্যায়ী ১৩ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আগামী সপ্তাহে চালুর প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার