দুনিয়াজুড়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। এই মহামারীতে গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮৯,০৬২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,১৭,৫৯৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৩৮,১৭৬ জন। এরকম এক অবস্থায় চরম সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, সোয়াইন ফ্লু যাকে আমরা N1H1 ভাইরাস বলে জানি, তার থেকেও ১০ গুন প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস। ২০০৯ সালে গোটা বিশ্বেই মহামারীর আকার নিয়েছিল সোয়াইন ফ্লু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে করোনা মোকাবিলায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। এর পর থেকে আজ ৩৫তম দিন চলছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রথম ১০০ জনে পৌঁছাতে সময় লাগে ২৮ দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই চিত্রে পরিবর্তন আসে। রবিবার ১৩৯ জনের দেহে আর সোমবার ১৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআর।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা পুরো চিত্র নয়। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়ানো হবে আক্রান্তের সংখ্যাও তত বেশি পরিবর্তন হবে। উল্লেখ্য, একই চিত্র বিশ্বের দুই শতাধিক ও দেশ ও অঞ্চলে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক