মাদারীপুরের শিবচরের উমেদপুরে গোপনে ঢাকার জুরাইনের এক কসাইয়ের (মাংস বিক্রেতার) লাশের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছালে ওই গ্রামের ২৫ টি বাড়ি বিশেষায়িত লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই ব্যক্তির মেয়েও জ্বর ঠাণ্ডায় ভুগছেন বলে জানা গেছে। একই পরিবারের আরও একজন বৃহস্পতিবার ঢাকায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার জুরাইনে ওই মাংস বিক্রেতার(৫৯) মৃত্যু হয়। ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই রাতেই ওই তাকে শিবচরের উমেদপুরে নিজ বাড়িতে আনা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি গোপন করে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজা ও দাফনে স্বজনরাসহ এলাকাবাসী অংশ নেয়। তড়িঘড়ি করেই দাফন সম্পন্ন হয়। এখনও কফিন বক্সটিও মাটিতে না পুতে বাইরে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে তার করোনা শনাক্তর খবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পৌঁছায়। দুপুরে প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে ওই বাড়িসহ সংস্পর্শে আসা ২৫টি বাড়িকে বিশেষায়িত লকডাউন করেন। ওই ব্যক্তির এক স্বজন বলেন, চাচা মারা যাওয়ার পর চাচাতো বোনও গলা ব্যাথা ও ঠাণ্ডায় ভুগছেন। আমাদের পরিবারের আরও একজন আজ ঢাকায় মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, যে মারা গেছেন তার অসুস্থ মেয়ের নমুনা পরীক্ষা আগামীকালই নেয়া হবে। এভাবে গোপন রাখলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঢাকার ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর খুব গোপনীয়তার সাথে তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছে। আমরা করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হওয়ার পর ২৫টি বাড়ি লকডাউন করেছি। ওই বাড়িসহ ওই এলাকায় লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক