দেশে মোট শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮শ এমন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে যাদের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ কিছুই ছিল না। তারা সুস্থও আছেন। কিন্তু আমাদের সুস্থ বলতে গেলে তাদের পরপর দু’টি নমুনা টেস্টে নেগেটিভ আসতে হয়। কারো কারো এখনো একটি টেস্ট হয়নি। কারো কারো একটি টেস্ট হয়েছে। এদের কেউ কেউ বাড়িতে আইসোলেশন রয়েছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালেও ভর্তি।
শুক্রবার দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃদু সংক্রমণ হয়। তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে। মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ মানুষের লক্ষণ ও উপসর্গ ব্যাপক আকারে প্রকাশ পায়। এদের ক্ষেত্রে হাসপাতাল ও আইসিইউ সাপোর্ট লাগে।
তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা কোনো অসুস্থ রোগী না। তারা পজিটিভ রোগীর কাছাকাছি এসেছে। তাই তাদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
নাসিমা বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভিতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৪১টি, ডায়ালসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১৭০ জন। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ