প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জারি করা চলমান লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে এবার আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে।
অঙ্গরাজ্যটির বেশ কয়েকটি শহরে শুক্রবার চলা বিক্ষোভে সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেওয়াসহ নাগরিকদের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করায় গভর্নর গ্যাভিন নিউসোমের সমালোচনা করা হয়।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার রাজধানী স্যাক্রেমেন্টো, সান ফ্রন্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলস ও সান দিয়েগোসহ অন্তত ১১টি শহরে লকডাউনবিরোধী এই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা, যাতে লেখা ছিল- স্বাধীনতা অপরিহার্য, ট্রাম্প-২০২০, জঘন্য নিউসম ইত্যাদি স্লোগান।
বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশেরই স্লোগান ছিল ‘খুলে দাও ক্যালিফোর্নিয়া, ‘স্বাধীনতা চাই’। অনেকে বাজাচ্ছিলেন কাউবেল। কারোর মধ্যে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনও বালাই ছিল না।
লস অ্যাঞ্জেলসের দক্ষিণে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে বিক্ষুব্ধ অনেককে অবস্থান করতে দেখা যায়। তারা সৈকত বন্ধ করে দেওয়ার নিউসোমের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন
সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মনিকা বেইলহার্ড নামে একজন এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন- “এটা সহ্যের চরম সীমা। এটা অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত। এখানকার মানুষ এসবের সঙ্গে অভ্যস্ত নয়।”
“আমরা অনেক বলেছি, যথেষ্ট হয়েছে। আমাদের কাজ করার অধিকার আছে।”
চলমান লকডাউন উঠিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার মিশিগান ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে অনেকে। এ সময় অনেকের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট। গভর্নর গ্রেটচেন হোয়াইটমারকে লকডাউন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এসব সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, মিশিগানের গভর্নরকে কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া উচিত। এই আগুন নেভানো উচিত। তারা খুবই ভালো মানুষ। একটু বিক্ষুব্ধ আর কী। তারা আবার তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চায়, নিরাপদে থাকতে চায়!
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৪৯২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ হাজার ৭৭৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৩ জন। এছাড়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে আরও ১৬ হাজার ৪৮১ জন। সূত্র: সিএনএন, দ্য হিল
বিডি প্রতিদিন/কালাম