নারায়ণগঞ্জে দু’টি বুথে জেকেজি উদ্যোগে করোনা উপসর্গদের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে চলছে তালবাহানা। নমুনা নেয়ার পর হোম কোয়রেন্টাইনের সময় চলে পার হয়ে গেলেও রোগী জানতে পারছেন না তার ফলাফল।
হটস্পট খ্যাত নারায়ণগঞ্জে বহু আশার বাণী শুনিয়ে নমুনা সংগ্রহে এসেছিল জেকেজি। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের এই কার্যক্রমে ব্যাপক বিড়ম্বনার অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে নমুন দিতে এসে ফিরে যাচ্ছে লোকজন। শনিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী একজন নমুনাদাতা। দিল মোহাম্মদ নামে ওই ব্যক্তি গত ১৯ এপ্রিল নমুনা দিয়েছিলেন। সেই নমুনার ফলাফল এখনো পাননি তিনি।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, হাইস্কুলের জেকেজির বুথে আমি আক্রান্ত কিনা সেটি জানতে গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে নমুনা পরীক্ষা করি, যার ফলাফল আজও পাইনি।
এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি গত ১২ দিন আগে ১৯ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য নমুনা জেকেজির বুথে দিয়ে এলেও এখনো ফলাফল পাইনি। এরকম অনেকেই পায়নি বলে শুনেছি।
সেখানে নমুনা পরীক্ষার জন্য যাওয়া অন্য ব্যক্তিরা জানান, জেকেজির ওখানে গেটেই বাইরেও প্রচুর ভিড় থাকে। মানুষের মধ্যেও তেমন একটা শারীরিক দূরত্ব থাকে না। স্কুলের বাইরে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ জন মানুষের জটলা থাকে। প্রতিদিন এরা নমুনা দিতে আসে। বোঝা যায় না কে আক্রান্ত। হতেও পারে এদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত থাকলে তার মাধ্যমেও ভাইরাসটিতে অন্যরা সংক্রমিত হবার শঙ্কা থাকে।
শহরের মিশনপাড়া এলাকার কলেজ ছাত্রী হ্নদিতা জানান, নমুনা দিতে সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও প্রবেশ-ই করতে পারেনি বুথে। স্কুলের গেট-ই খুলেনি।
এ বিষয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের মিডিয়া রিলেশন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির হিমুর কাছে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তো আমাদের কাজ না। আমরা শুধু নমুনা সংগ্রহ করে দেই। ফলাফল পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নেগেটিভ পজিটিভ যাই হোক ফলাফল উনারাই পাঠান আর এ ব্যাপারটি উনারাই বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমাদের জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আমি জেকেজির ব্যাপারে কিছুই জানি না। তারা কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করে, কার কাছে পাঠায়, কীভাবে ফলাফল দেয় তাও জানি না। এদের নমুনা সংগ্রহ কতোজনের কিংবা আক্রান্ত কতোজন প্রতিদিন শনাক্ত হয় সেটিও আমি বলতে পারবো না।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র হাই স্কুলে জেকেজির উদ্যোগে করোনা উপসর্গদের নমুনা সংগ্রহ কাজ চলছে আরও ১৫ দিন আগ থেকেই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল