ইউরোপের দেশ স্পেনকে ইতোমধ্যে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। তবে সম্প্রতি সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু নিয়মকানুন শিথিল করায় আবারও দেশটিতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস।
বৃহস্পতিবার স্পেনে একদিনে ৫৮০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ১০ মে’র পর তথা ৬৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৫ জন। খবর সিএনএন’র।
গত ২৪ ঘণ্টায় আটলান্টিক পাড়ের দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ জন। এছাড়া গত এক সপ্তাহে মারা গেছে মোট ৯ জন। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৪১৬ জন।
কেন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা? স্পেনের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ডিরেক্টর ফার্নান্দো সিমন বলেছেন, মূলত আরাগন ও কাতালোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। নতুন যে ৫৮০ জন আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে ৭০ শতাংশই কাতালোনিয়া ও আরাগনের।
স্পেনে বর্তমানে ১৫৮টি সংক্রমণ প্রবণ স্থান রয়েছে। সেগুলোর অধিকাংশই নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। বর্তমানে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশ মৌসুমী কর্মজীবী। এদের ৪০ শতাংই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
এই কর্মজীবীদের ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। অর্থাৎ জরুরি কাজ তাদের দ্বারাই হয়ে থাকে। তারপরও স্পেনের সরকার চেষ্টা করছে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে তাদের চলাচল সীমাবদ্ধ রাখার।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষদের গড় বয়স ৪৬। আর নারীদের গড় বয়স ৫০। স্পেনে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ সময়ে আক্রান্তদের গড় বয়স ছিল ৬২।
বিডি প্রতিদিন/কালাম