করোনাভাইরাসে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই অসহায় হয়ে পড়েছে। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ।
প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বাড়ছে যে প্রায় সব দেশই চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন অবস্থায় ভারতের নাগাল্যান্ডে প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় সামগ্রী পৌঁছাতে শুরু হয়েছে ড্রোনের ব্যবহার।
জানা গেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ড্রোনের সাহায্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অতি প্রয়োজনীয় পিপিই, মাস্ক ও ওষুধের প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে ভারতের ওই রাজ্যে। জানা গেছে, কোহিমার কোভিড-১৯ হাসপাতাল থেকে আইজি স্টেডিয়াম পর্যন্ত চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের প্যাকেট করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও সেবায় নিযুক্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক জিনিসপত্র থাকছে। কোহিমাতে পরীক্ষামূলক সফলতা এলে রাজ্যের সর্বত্র চালু হবে ড্রোনের মাধ্যমে করোনা চিকিৎসার পিপিই, কিট ও ওষুধ পাঠানোর কাজ।
ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার যেতে সক্ষম এসব ড্রোন। প্রতিবারে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় কিট পাঠানো যাবে। ফলে সড়ক পথে যাওয়ার সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভব হবে।
ড্রোন দিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের কিট পাঠানোর অভিনব প্রয়োগ আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার। এরই মধ্যে দুটি ড্রোন কাজে নামানো হয়েছে।
নাগাল্যান্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সিস্টেমের তৈরি এই ড্রোন দুটির বহন ক্ষমতা ৫ কেজি থেকে বাড়িয়ে ২৫ কেজি পর্যন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সে অনুসারে কাজ চলছে। আপাতত দুটি ড্রোন লাগাতার জরুরি সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনও রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসাম ও ত্রিপুরা। রাজ্য দু’টিতে করোনা পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক। সূত্র: কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/কালাম