পরিবারের সব সদস্যের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছিল। সবাই হাসপাতালে ভর্তি। ২৩ বছর বয়সী সালোনিকে এড়িয়ে চলেছেন প্রতিবেশীরা। অবশেষে সবাই করোনা জয় করে ঘরে ফিরেন। বাকি ছিলেন বড় বোন। বোন বাড়ি ফিরতেই নেচে বোনকে স্বাগত জানিয়েছেন সালোনি। বড় বোনও তাল মেলালেন ছোট বোনের সাথে। সেই ঘটনার ভিডিও এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। ভারতের পুনের বাসিন্দা সালোনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশীদের কড়া বার্তা দিতেই এমন এটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, ভারতের পুনের ধানকাওয়াদী-আম্বেগাঁও এলাকার বাসিন্দা সালোনি সতপুত। গত ৪ জুলাই সালোনির বাবার শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে এবং স্থানীয় ভারতী হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপরই করোনায় আক্রান্ত হয় তার মা, দাদা-দাদীসহ অন্য সদস্যরা। সালোনির বড় বোনের শরীরেও কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ফলে পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। সালোনির মা ও দাদা-দাদীকে ভর্তি করানো হং পুণের ‘ওন্ধ ইন্সিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সস’। বড় বোন চলে যান সিংহাগড় হোস্টেলে। অন্যদিকে প্রতিবেশিরা সালোনি-কে একঘরে করে রাখায় সে নিজেকে আইসোলেশন করে রাখে।
এরপর ধীরে ধীরে তার বাবা-মাসহ সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু তার বড় বোন স্নেহাল তখনও হাসপাতালেই রয়ে যান। এরপর তিনিও যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান-তাকে স্বাগত জানাতে সালোনির মাথায় আসে নতুন পরিকল্পনা। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে স্নেহাল যখন নিজের বাড়ির কাছে পৌঁছান ঠিক তখনই সালোনি নিজের মোবাইলে উচ্চস্বরে গান চালিয়ে দেন। আর তার সাথেই নাচতে নাচতে এগিয়ে যান সালোনি। সদ্য করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা তার বড় বোনও গানের তালে নেচে ওঠেন। এরপর তাকে প্রদীপ জ্বালিয়ে, কপালে টিপ দিয়ে ঘরে তোলেন তার মা।
সালোনি জানান, আমি যখন আমার বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছ থেকে ফোন কল পেলাম তখনই আমি জানতে পারি যে ওই ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে। অনেকে আমার এই ভিডিও দেখে ট্রোল করেছে। তবে আমিও চাই তারা আমাদের সত্যি ঘটনাটি জানুক।
এক আইপিএস কর্মকর্তা ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, দুই বোনের নাচ দেখে খুব ভাল লাগলো। করোনাকে হারিয়ে ঘরে ফেরা বড় বোনকে জমকালো স্বাগত জানানো হয়েছিল। কোনও মহামারীই কোনও পরিবারের হাসি কাড়তে পারে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা