নাটোরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় বিলম্বিত হচ্ছে করোনার নমুনার পরীক্ষা, ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমন। একটি পিসি আর ল্যাবের অভাবে নাটোরে করোনা পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত নমুনার ফফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল ল্যাবে করোনার নমুনার কোন পরীক্ষাই হয়নি। আগে ও পরে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য অপক্ষেমান রয়েছে। নাটোরে আশেপাশের জেলা সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়াতে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। নওগাঁতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু নাটোরের জন্য এখনো কোন পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে নাটোরে করোনা নমুনার পরীক্ষা হচ্ছে ধীর গতিতে।
একারণে নাটোরে দ্রুত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। নুমনা পরীক্ষার জটিলতা তার মধ্যে অন্যতম কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় দ্রুত নমুনা পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের শানাক্ত করে আলাদা করে ফেলতে না পারলে সামাজিক পর্যায়ে ভয়াবহভাবে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নাটোর সিভির সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় , গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার কোন করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। অথচ নমুনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৫৬২টি নমুনা। এসব নমুনা পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই নতুন করে আবার নমুনা জমা হচ্ছে। ফলে রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। অনেকে করোনা পজেটিভ হওয়া সত্বেও রিপোর্ট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমন।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মজিানুর রহমান জানান,আমরা নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার জন্য রামেকে প্রেরণ করছি। এখন পরীক্ষা করার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। কারণ নাটোরে কোন পিসিআর ল্যাব নেই। সুতরাং এখানে পরীক্ষা করানোর কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারও করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য।তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের মোট ৫টি ল্যাবে নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহী দুটি ল্যাবে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, নওগাঁ ও চাপাইনববাগঞ্জের নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ নমুনা আমাদের কাছে আসছে তা দিনের দিন পরীক্ষ করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই সক্ষমতার অতিরিক্ত নমুনা ঢাকায় আরও দুটি ল্যাবে পাঠাতে হচ্ছে আমাদের। ঢাকায় নমুনা পাঠিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন।
নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, নাটোর জেলা শহরে স্থাপতি আধুনিক সদর হাসপাতালটি নামে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এটি এখনো ১০০ শয্যার হাসপাতাল। কিছু ভবন তৈরি হচ্ছে। ২৫০ শয্যার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। ফলে আইসিইউ সহ অনেক সুযোগ সুবিধাই আমরা নাগরিকদের দিতে পারছি না। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে এবং করোনা প্রতিরোধ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নাটোরে একটি পিসিআর র্যাব স্থাপন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন সুধিা প্রদানের জন্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। তবে এ বিষয়ে আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তবে তিনি স্বীকার করেন পিসিআর ল্যাব না থাকায় করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ