সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তসাই ইং-ওয়েন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির এক সভায় বলেন, 'জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু চীনের হস্তক্ষেপের কারণে আমরা এখনও চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারিনি।' এই প্রথম তাইওয়ান বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগ এনেছে।
সাংহাই ফোসুন ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ, গত বছর বায়োএনটেকের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ডে তাদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং মার্চ মাসে তাইওয়ানকে এই ডোজগুলির কিছু সরবরাহ করার প্রস্তাব দেয়। এসসিএমপি জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় ফোসুনকে চীন, হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডে ভ্যাকসিনের উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের একচেটিয়া অধিকার দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে জার্মান সংস্থাটি বলেছে, 'আমরা সাধারণত ভ্যাকসিন ডোজ প্রদানের সম্ভাব্য বা চলমান আলোচনা সম্পর্কে মন্তব্য করিনি।'
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান তসাইয়ের বলেন, 'তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ড থেকে টিকা নেওয়ার চ্যানেলগুলো বাধাহীন।' এছাড়াও বেইজিংয়ের তাইওয়ান বিষয়ক অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বলেছেন, 'সাংহাই এবং জিয়াংসুতে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাইওয়ানকে এক ব্যাচের ভ্যাকসিন দান করতে সম্মত হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান এখন পর্যন্ত কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে ৭ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির