নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে জেলার দুর্গাপুরে ৬ জন শনাক্ত হয়েছে। তারমধ্যে হাসপাতালে উপস্বর্গ নিয়ে আসা একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে মারা যান। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। আর নতুন এই তিনজন নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় জনে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের ২ জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ ১ জন। এছাড়া সর্দিকাশির রোগী বাড়ার খবরও পাওয়া গেছে। যদিও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেইসবুক পেইজ সূত্রে জেলায় আক্রান্তের হার কম দেখা যাচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, সর্দিকাশি জর নিয়ে আসছে রোগীরা। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা রোগীর বাড়ছে। কয়েকদিন আগেও এমনটা ছিলো না। গত এক সপ্তাহে ছয়জন হয়ে গেছে। তার মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলার একজন চিকিৎসা নিতে আসছিলেন। উনাকে ময়মনসিংহ পাঠিয়েছিলাম তিনি মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ বিষয়টি নিয়ে বসবো। বিজিবি সহ সকল দপ্তরের লোকজন থাকবে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আসলেও দেখা যাচ্ছে বর্তমানে তেমন মানছেন না কেউ। যে কারণে বাড়ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন নিজ নিজ বাড়িতে সদর উপজেলা ও সীমান্ত উপজেলা কলমামাকন্দায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ল্যাবে ৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাপ্ত ৩০ টির মধ্যে সদরে শনাক্তকৃত ১ জন।
এ পর্যন্ত পরীক্ষাগারে মোট নমুনার সংখ্যা ১৭৫৬৯ টি। রিপোর্ট পাওয়া গেছে মোট ১৭১৮৯ টির। জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তকৃত সর্বমোট ১২৫৬ জন। যা শতকরা ৭ দশমিক ৩১। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১০৩ জন। যা শতকরা ৮৭ দশমিক ৮২।
এছাড়া গত ১৫ মে সদর উপজেলার মঈনপুর নিবাসী ৬৫ বছর বয়সের নারী নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মৃত্যুর আগে জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে পজেটিভ জানা গেছে। এদিকে সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাও নিবাসী ৯০ বছর বয়সের একজন পুরুষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন। তিনি গত ৭ মে নমুনা দিয়েছিলেন যা পজিটিভ এসেছিলো। দুজনই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যু ২৫ জন। যা শতকরা ১ দশমিক ৯৯ ভাগ।
এদিকে নেত্রকোনা ৩১ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) কর্নেল এস এম জাকারিয়া জানান, সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে। কঠোর নজরদারী চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল