করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ডেল্টা ভ্যারিয়েশন (ধরন) ভারতকে বিপর্যস্ত করেছিল প্রায় দুই মাস। দেশটিতে আপাতত সংক্রমণ কমেছে। এখন এই প্রজাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বের ৯৬টি দেশে। বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হওয়া ৮০ শতাংশ এই ডেল্টা ভ্যারিয়েশনের। এ কারণে সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের কঠোর লকডাউন চলছে বাংলাদেশে।
সতর্কবার্তা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, আগামী মাস কয়েকের মধ্যে ‘ডেল্টাই’ হবে করোনার প্রাধান্যশীল ধরন।
এদিকে গত জুন মাসে এই প্রজাতি নিয়ে এক দীর্ঘ গবেষণা চালায় স্কটল্যান্ডের এক দল গবেষক। তারা দেখেছেন ডেল্টার সংক্রমণ হাসপাতালে ভর্তি করার মতো পরিস্থিতি অনেক বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ৮২ হাজার ৫০০ করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর গবেষণা চালান তারা।
ল্যানসেট প্রত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কম বয়সীদের টিকাকরণ হয়নি, তারা যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। এ ছাড়া যাদের কোনোরকম কোমর্বিডিটি (সহ-অসুস্থতা) রয়েছে, বা যাদের বয়স বেশি, তাদের ডেল্টা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাকিদের তুলনায় বেশি।
গবেষকরা জানান, ৮২ হাজার ৫০০ করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অন্তত ৫২ হাজার ৮২২ জন কোনো ভ্যাকসিন নেননি। এ ছাড়া ২০ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলেন, যারা শুধু ভ্যাকসিনের এক ডোজ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া ৭ হাজার ২০০ জন ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হন। গবেষণা থেকে তারা এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন, করোনার কোনো ভ্যাকসিনই শতভাগ কার্যকর নয়।
অপরদিকে গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, টিকা না পাওয়া লোকজনের মাঝে এই প্রজাতিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র: সিএনবিসি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ