করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাত দিনের লকডাউন চলছে। রবিবার লকডাউনের চতুর্থ দিনে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়কে আগের দুই দিনের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। তবে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ পরিপালন নিশ্চিতে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসময় দেখা যায় রাস্তায় বের হয়েছেন কর্মজীবীরা। রিকশায় গন্তব্যে ছুটেছেন অনেকে। কেউ কেউ যাচ্ছেন হেঁটে। চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও। ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। খুলেছে নিত্যপণ্যের কিছু দোকানও।
এদিকে সিলেট নগরজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে ও নগরবাসীকে সচেতন করতে বিভিন্ন সড়কে মাইকিং করছে সিলেট সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের টহল অব্যাহত ছিল। সকাল থেকেই চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ। মানুষকে থামিয়ে গন্তব্য ও তার কারণ জিজ্ঞাসা করেন র্যাব, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা।
লকডাউন বাস্তবায়ন করতে ও সরকারি আদেশ অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় মানুষের চলাচলসহ অন্যান্য বিষয়ে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে নগরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বাইরে যারা বের হয়েছেন তারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে জরিমানাও করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অভিযান চলায় র্যাব। এসময় র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ লকডাউন না মেনে বাহির হলে তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। এসময় লোকজনের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেন র্যাব-৯ অধিনায়ক।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ