করোনা রোধে কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে দিনাজপুরে গণপরিবহন চলাচল করেনি। শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে গত তিনদিনের তুলনায় বেশী অটোরিক্সা, ভ্যান বিভিন্ন সড়কে চলছে। জনসাধারণের চলাচলও বেড়েছে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর শহরের মহারাজা মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৬টি মামলায় ৪৮০০ টাকা জরিমানা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ। এসময় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন জোরদার করতে মাস্কও বিতরণ করা হয়।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে জনাসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি জরিমানা ও কঠোর দিকনিদের্শনা অব্যাহত রয়েছে।
মাস্ক বিতরনে ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দিনাজপুর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ইমাম সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব রফিকুল্লাহ মাজহিরিসহ আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, বীরগঞ্জে গতকাল রবিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল শুরু হলে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। কারণ ছাড়াই যারা বের হয়েছেন তাদের মৌখিক ভাবে সর্তক করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কঠোর বিধি নিষেধ অমান্য করে বিকেল ৫টার পর দোকান খোলা রাখার অভিযোগে বীরগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ডালিম সরকারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার ভোগনগর ইউপির কবিরাজহাট, মোহন ইউপির লাটেরহাট, নিজপাড়া ইউপির প্রেমবাজার এবং পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানের ১০টি দোকানদারকে ৭০০০ টাকা জরিমানা করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল