করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোর সদর হাসপাতালে একজন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও তিনজন মারা গেছেন। এই সময়ে জেলায় নতুন করে ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৭.০৭ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ৪২৮৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৫১ জন।
নাটোরে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২২৭৪ জন। মোট মৃত্যু ৬১ জন। এছাড়াও একই সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।
সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার রায় জানান, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড়াইগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তফের উদ্দিন আহম্মেদ (৭২) গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৮২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট নেই। তবে রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনেও সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। জেলা প্রশাসনের প্রায় ১২টি মোবাইল টিম সরকার নির্দেশিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
জরুরী ও নিত্যপণ্য এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও সবজি বাজারসহ অলিগলিতে মানুষের চলাচল কিছুটা বেড়েছে। এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী ৪৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, আমরা যদি সরকারের নির্দেশ মোতাবেক জীবনযাপন করতে পারি তাহলেই ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারব। তিনি মহামারি থেকে রেহায় পেতে সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের যে যার অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির