করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৩৭৫ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭৫ জন।
এদিকে সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন চিকিৎসকে যশোর হাসপতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৭১৮ জন। এছাড়া বর্তমানে জেলায় ৯৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ করোনা পজেটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ২৭৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি ৯৭৮ জন বিভিন্ন ক্লিনিক ও বাসা বাড়িতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন চিকিৎসকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে পদায়ন করা হয়েছে যশোর জেলা হাসপাতালে ও ১৬ জনকে পদায়ন করা হয়েছে সাতক্ষীরা সদও হাসপাতালে। আগামী ৭ জুলাই এর মধ্যে পদায়নকৃতদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জাকিয়া পারভনি গতকাল সোমবার এই সরকারি প্রজ্ঞাপন স্মাক্ষর করেন। যশোর জেলা হাসপাতালে বদলীকৃতরা হলেন ডা. মোহাম্মদ শরিফুজ্জামান, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন হোসেন, ডা. প্রবির কুমার দাশ, ডা. মনিরুজ্জামান, ডা. মোজাম্মেল হক, ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, ডাঃ সাইফুল ইসলাম, ডা. হোসনে আরা, ডা.সাইফুল্লাহ ও ডা. জিএমএম ফারুকুজ্জাম।
অপরদিকে মেডিকেল কলেজ থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বদলী করা হয়েছে ডা. শেখ আবু সাঈদ, ডা.ফারহানা হোসেন, ডা. মোছাঃ খসরুবা পারভীন, ডা. সুতপা চ্যাটার্জি, ডা. মোহাম্ম শামছুর রহমান, ডা. ইনামুল হাফিজ, ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডা. ফকরুল আলম, ডা. নাছরিন সুলতানা, ডা. নাছির উদ্দিন গাজী, ডা. শেখ নাজমুস সাকিব. ডা. ফাহমিদা জামান, ডা. মেহজান নাজরিন, ডা. উপমা গুহ রায়, ডা. আনিছুর রহমান, ডা.শরিফা জামান। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিঠি এখনো পর্যন্ত তার হাতে পৌছায়নি। কিন্তু বিষয়টি সত্য।
এদিকে ৫৮ জন ডাক্তারের বিপরীতে মাত্র ৩১ জন ডাক্তার নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বাকি ২৭ পদে ডাক্তার শুন্য রয়েছে। এছাড়া ২০ জন ওয়ার্ড বয় ও ২০ জন আয়া এবং ৩০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শেখ কুদরত-ই-খোদা।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেন প্লান্টে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে সিসিইউ ও আইসিইউতে ৬ জনসহ মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি ৪ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ