শিরোনাম
- এবার এমসিকিউ পদ্ধতিতে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা
- ঢাবির টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণ
- মুক্তি পেল ‘ট্রায়াল অব জুলাই ম্যাসাকার’ প্রামাণ্যচিত্র
- প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২৪০০ মামলা
- গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করছে পেট্রোবাংলা
- ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান
- ধোলাইপাড়ে বাসে আগুন
- বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
- দেশের মানুষের সেবক হয়ে কাজ করবেন তারেক রহমান: ভিপি সাইফুল
- থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সৈন্যদের আবারও পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ১
- আবুধাবি টি-১০ লিগে খেলার জন্য এনওসি পেলেন সাইফ
- বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’র যাত্রা শুরু
- মার্কিন হামলার আশঙ্কায় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা
- ‘রাজপথের সঙ্গীদের প্রতি আহ্বান, দয়া করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করবেন না’
- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের বাসায় পুলিশের অভিযান, আটক ৭
- তদন্তের জালে তুর্কি ফুটবল, দুই লিগ স্থগিত
- রেলপথ ও স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- প্রি-রিলিজেই ৪০০ কোটির ক্লাবে বিজয়ের ‘জন নায়াগান’
- লালদিয়া টার্মিনালে আসছে ৮০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ : আশিক মাহমুদ
লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। একই সঙ্গে সরকারি ঔষধ না পাওয়াসহ চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রোগীর স্বজনরা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা প্রতিরোধক ইনজেকশন সাপ্লাই নেই, এছাড়া অন্য সব সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ৩০ বেডের একটি ইউনিট নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে ওই ইউনিট রোগীতে ভর্তি রয়েছে। একই হাসপাতালের অন্য পাশে এ পর্যন্ত ৩৭ জন আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। এমন প্রেক্ষাপটে চিকিৎসক ও নার্সরা এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা।
এদিকে করোনা ইউনিটে গিয়ে দেখা যায় আক্রান্ত রোগীরা অক্সিজেন নিচ্ছেন সবাই। তাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন স্বজনরা। এসময় করোনা আক্রান্ত রোগী রাজিয়া বেগমের সন্তান মাওলানা সোহেল ও সালেহা বেগমের সন্তান ইস্রাফিলের সঙ্গে আলাপকালে তারা অভিযোগ করেন, নাম মাত্র সরকারি হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি রাখা হয়েছে। এ হাসপাতালে ব্যাথার ঔষধ থেকে শুরু করে সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। এছাড়া একটি ইনজেকশন ১৮০০-২২০০ টাকা করে বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনছেন বলে জানান তারা। নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে তা কেনা কষ্টকর উল্লেখ করে বিড়ম্বনা আর ভোগান্তির শেষ নেই বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এসব স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত বয়োবৃদ্ধরা আসলে তাদের ভর্তি না করে বাড়িতে ও প্রাইভেটে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু সদর হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। করোনার ক্লান্তিলগ্নে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে নার্স ও চিকিৎসক আরো বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনার প্রতিরোধক এন্টিভাইরাল ইনজেকশন সরকারিভাবে সাপ্লাই না থাকায় তা বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে স্বজনদের। তবে অন্য সব ঔষধ ও সেবা হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া সেবা দিতে গিয়ে কয়েকজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২০৮ জনের। এর মধ্যে করোনা সনাক্ত হয়েছে ৭০ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৯ জন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর