বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সামাজিক নেতৃত্বদান বিষয়ক দক্ষতা তৈরিতে এবং তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রমের বিষয়ে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ.ন. আহাম্মদ আলী, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ বারবারা উইকহ্যাম, ড. শাহনাজ করিম, ডিরেক্টর সোসাইটি ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ চুক্তির অধীনে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল একসাথে প্রশিক্ষকদের সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করবে, যারা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন্স’- এর কর্মপদ্ধতি প্রয়োগ করে এবং প্রশিক্ষণের মডিউল ব্যবহার করে বাংলাদেশব্যাপী তরুণদের সামাজিক নেতৃত্বদান বিষয়ক দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। নেতৃত্ব বিষয়ক এ প্রশিক্ষণের পর তরুণরা তাদের এলাকায় উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করবে। সফলভাবে এ প্রশিক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর সমাপ্তির পর প্রত্যকে তরুণকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল স্বাক্ষরিত সনদ দেয়া হবে।
এ নিয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ.ন. আহম্মদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে আমাদের লক্ষ্য একই তাই এ ব্যাপারে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নেতৃত্বদানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে দেশের ৬৪ জেলায় ২ হাজার তরুণের কাছে পৌঁছাবে। প্রশিক্ষিত তরুণরা তাদের নিজ এলাকার পরিবর্তনের রূপকার হিসেবে কাজ করবে এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
এ নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ বারবারা উইকহ্যাম বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের নেতৃত্ববিষয়ক দক্ষতার উন্নয়নে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে ব্রিটিশ কাউন্সিল আনন্দিত। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং তরুণদের সামাজিক নেতৃত্ব বিষয়ে আমাদের অ্যাকটিভ সিটিজেনস কর্মসূচি ইতোমধ্যেই ৪০ হাজার তরুণকে তাদের দক্ষতার উন্নয়নে সহায়তা করেছে। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা আরো বেশিসংখ্যক ভবিষ্যৎ তরুণ নেতৃত্বের সাথে কাজ করা।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পাশাপাশি, সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকলস্তরে তরুণদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। তরুণদের নেতৃত্বদান ও সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব বিশ্বমানসম্পন্ন নেতৃত্ববিষয়ক কর্মসূচি আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে যা বাংলাদেশের তরুণদের অ্যাকটিভ সিটিজেনের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল