ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর নিজ বাড়ি ফেরা হলোনা শিশু মেঘনার (৮)।
আজ বেলা ১১টায় বাড়ি ফেরার সময় নীলফামারী-ডোমার সড়কে জেলা সদরের পলাশবাড়ি নামক স্থানে ট্রাক্টরের চাপায় মৃত্যু হয়েছে তার। এসময় তার দাদা, দাদি, মা. চাচাত ভাইসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে।
আহতদের নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে নীলফামারী জেলা সদরের খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের শিংগিমারী গ্রামে মমিনুর রহমানের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ বেলা ১১টায় পরিবারের সদস্যদের সাথে জেলা সদরের পলাশবাড়ি গ্রামের ফুফু আজিরন বেগমের বাড়ি থেকে অটোরিক্সা যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিল শিশু মেঘনা। এসময় বিপরীতমুখী বালিভর্তি ট্রলিসহ একটি ট্রাক্টর অটোরিক্সাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় শিশু মেঘনা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় মেঘনার আট বছরের চাচাত ভাই রাকিব, দাদি ময়না বেগম (৬০), দাদা ফজর আলী (৭৫), মেঘনার মা সুমি আক্তার (৩৫) ও অটোরিক্সা চালক আবুল কালাম আজাদ (৪০)।
মেঘনার চাচা আজাহার আলী (৩৫) জানায়, গতকাল সকালে পরিবারের সদস্যরা তার বোন আজিরনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে রাত থেকে আজ সকালে অটোরিক্সায় বাড়ি ফিরছিল তারা। পথিমধ্যে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তার ছেলে রাকিবের অবস্থা আশঙ্কাজন। মেঘনা ব্রাক স্কুলের ছাত্রী বলে জানান তিনি।