বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

দৌলতপুরে আরিফ বাহিনীর ভয়ে ১৫০ পরিবার গ্রামছাড়া

বাড়িঘরে লুটপাট চাঁদা দাবি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সন্ত্রাসী আরিফ বাহিনীর ভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ১৫০ পরিবার। এছাড়া তাদের হুমকির মুখে প্রতিদিন নতুন নতুন পরিবার গ্রাম থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। গত চার দিন দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা জামালপুর গ্রামে এ অবস্থা বিরাজ করলেও প্রশাসন নীরব। জানা গেছে, জামালপুর গ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বাহিনী প্রধান আরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন গ্রামের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, গরু-ছাগল লুট করে ভুরিভোজ, খেতের ফসল লুট করছে। এসব ঘটনায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রাণভয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। আরিফ বাহিনীর ভয়ে গতকালও গ্রাম ছেড়েছেন আবদুল খতিব, আবদুল ওহাব, তুজাম, শাজাহান আলী, গোলাম মোস্তফা, বিদু ও স্বপনসহ অনেক পরিবার।

গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে আসা কৃষক আবদুল খতিব জানান, আরিফ ও তার লোকজন জোরপূর্বক তার ছাগল জবাই করে খেয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আরিফকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে তদন্ত করতে যায়। এ সময় আরিফ পুলিশের সামনেই অস্ত্র উঁচিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। মহিষকুণ্ডি গ্রামে আশ্রয় নেওয়া আতাউল, জিয়াউল ও আশরাফ জানান, আরিফ বাহিনীর ভয়ে গ্রাম ছেড়েছি। সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে না পারায় তাদের ভাই স্বপনকে বিনা অপরাধে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জানান, আরিফ বাহিনী এলাকার ত্রাস। তার ভয়ে ১৫০ পরিবার গ্রাম ছেড়েছে। সব ঘটনা জেনেও পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। দৌলতপুর থানার ওসি এনামুল হক জানান, কোনো নিরীহ বা সাধারণ মানুষ গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে না। রবিবার রাতে জামালপুর গ্রামের দুই দল চোরাকারবারীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওইসব আসামি ও তাদের স্বজনরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া গ্রামে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর