বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাঠাগারটি বন্ধ দেড় যুগ

১০ লাখ টাকার বই উধাও

হারুন অর রশিদ, বাউফল (পটুয়াখালী)

পাঠাগারটি বন্ধ দেড় যুগ

বাউফলের একমাত্র পাঠাগারটি এখন পরিত্যক্ত

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একমাত্র পাঠগারটি বন্ধ প্রায় দেড় যুগ। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় পাঠাগারটির প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার বই ও আসবাপত্র উধাও হয়ে গেছে। এদিকে এলাকার জ্ঞানপিপাসুরা পাঠাগারটি পুনরায় চালুর দাবিতে গঠন করেছেন ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি।  জানা গেছে, ১৯৯১ সালে এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাউফল পাবলিক মাঠের পূর্বপাশে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় এটি পরিচালনার জন্য একটি সংবিধানও তৈরি করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন পাঠাগারের সভাপতি। কিন্তু বাস্তবে এর কার্যকারিতা নেই। জানা গেছে, পাঠাগারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গল্প, উপন্যাস, পাঠ্যবইসহ বিভিন্ন ধরনের দুই সহস ধিকের বেশি বই ছিল। জাতীয় আঞ্চলিক বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাও রাখা হতো। পাঠাগারটিতে সকাল-বিকাল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জ্ঞানপিপাষু মানুষ পড়াশোনা করতে আসতেন। কিন্তু যথযথ পৃষ্টপোষকতার অভাবে আসবাপত্র ও ভবন নষ্ট হয়ে ১৯৯৯ সালের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। বাউফল ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক লুৎফর রহমান বলেন, পাঠাগারের অভাবে এলাকার ছাত্রছাত্রী এবং নানান পেশার মানুষ বই ও পত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির জানান, ২০০০ সালে তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে কমিটির অন্য সদস্যরা তাকে সহায়তা করেননি। ফলে পাঠাগারটি তিনি রক্ষা করতে পারেননি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, পাঠাগারটি চালু করার জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর