পার্বত্যাঞ্চলে চাঁদাবাজদের কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। বড় থেকে নিম্নমানের পর্যন্ত সব ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না পর্যটকরাও। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামীতে স্থানীয় ঘরবাড়িতে বসবাসকারীদেরও চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ীরা সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গতকাল সকাল ১১ টায় রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ উদ্যোগ আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা এসব অভিযোগ করেন। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন ভূইয়া বেলালের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সিনিয়র সভাপতি শাহ আলম, চেম্বারের পরিচালক ইকবাল উদ্দিন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বারের পরিচালক নিখিল কুমার চাকমা, পরিচালক মো. নিজাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মহোসেন রানা, মো. ইউসুফ ও ঊষা মং প্রমুখ। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন ভূইয়া বেলাল বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য রাঙামাটি অপার সম্ভাবনাময় একটি স্থান। এ অঞ্চলের সবজি চাষ, মৎস্য উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত হলেও সংরক্ষণের অভাবে সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে হিমাগারের অভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে পিছিয়ে আছে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে কাঠের ফার্নিচার বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে অনেক আগে। কিন্তু এ অঞ্চলের কাঠ বা ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে আছে চাঁদাবাজদের কাছে। ঠিকাদার সমিতিও একই সমস্যা মাথায় নিয়ে ব্যবসা করছে। চাঁদাবাজদের কারণে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। তাই উন্নয়নও হচ্ছে না এ অঞ্চলের। দীর্ঘ দিন ধরে এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষ অবৈধ অস্ত্রধারী চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও তার কোনো প্রতিকার হয়নি। বরং এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন নামধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে চিঠি দিয়ে চাঁদা চাই। তাদের প্রতিহত করতে হলে ধর্ম-বর্ণ জাতি ও সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। এ আগে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনী অনুমোদন করা হয়। এছাড়া চেম্বারের বার্ষিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়।