মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

দারোগার ক্রোধের শিকার দুই মায়ের ১৩ ঘণ্টা ভোগান্তি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

ক্রুুদ্ধ এক দারোগা বিনা দোষে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখলেন দুই মাকে। সদর থানা পুলিশ থানায় আনার আগে তাদের বাড়িতে মাদারীপুর তাণ্ডব চালিয়েছে। সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার মানুষ এই তাণ্ডবের জন্য দায়ী পুলিশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিতর্কিত একটি জমির তদন্ত কাজে যান থানার এসআই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চান। পনির কিছু জানেন না বলে জানান। এতে দারোগা মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে পনিরকে থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে পনির পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে মাহতাব আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে ফোন করে থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ এনে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় পনির ও তার বড় ভাই-বোনের ঘরে মূল্যবান আসবাবপত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় হাঁড়ি-পাতিল, থালা বাসনসহ রান্নার চুলাও ভেঙে ফেলে। পনিরের স্ত্রী ঝুনু বেগম ও তার বড় ভাইয়ে স্ত্রী আকলিমা বেগমকে বেলা ১১টার দিকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তখন ঝুনু বেগমের তিন মাসের শিশু ও আকলিমার ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে রেখে যেতে বাধ্য করে। পরে রাত ১২টার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। আকলিমা বলেন, তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুধের বাচ্চার কথা বললেও তারা ‘বাজে’ ভাষায় গালাগাল করে মাদক ও হত্যা মামলায় চালান দেওয়ার কথা বলেন। পনিরের বড় বোন হামিদা বেগম জানান, বাড়িতে পুলিশ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় তার ঘরের আলমারিতে থাকা ৬০ হাজার টাকা খোয়া যায়।’ পনিরের মা আলেকজান বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘বিনা দোষে আমার ছেলেকে মারধর করেছে পুলিশ। আমাদের রান্না করার চুলাটাও ভেঙে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’ তবে এসআই মাহাতাব হোসেন দাবি করেন তিনি, ওই ঘটনার কিছুই জানেন না।  এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর