বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে ছাত্রলীগের হরতাল পালিত

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের ডাকে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপা, কলেজ গেট, ভেদভেদীসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলসহ পিকেটিং করতে দেখা গেছে। হরতালের সমর্থনে মাঠে তৎপর ছিল যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়। হরতাল চলাকালে কোথাও কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, হরতালের কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ছেড়ে যায়নি রাঙামাটির ৬টি উপজেলার কোনো লঞ্চ। শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র বাহন অটোরিকশা (সিএনজি) চলাচল বন্ধ থাকলেও এসএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষক-পরীক্ষার্থী বহনকারী সব যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত ছিল। খোলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি ও কাজকর্ম তেমন ছিল না।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যার দিকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় সড়কে অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা প্রায় ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে শহরে সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে রাতে তাত্ক্ষণিক হরতাল ঘোষণা করে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ।

সর্বশেষ খবর