শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

চাঁদপুরে ধারণক্ষমতার ৩ গুণ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে ধারণক্ষমতার ৩ গুণ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে লঞ্চ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য চাঁদপুর  থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। এতে যেমন রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, তেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশু যাত্রীদের। ঈদের পর গত মঙ্গলবার থেকে যাত্রী বৃদ্ধি  পেতে শুরু করেছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কথা স্বীকার করেনি বন্দর ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে মাদ্রাসা রোডস্থ লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। নির্দিষ্ট সময়েই  প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চগুলো। সকাল থেকেই প্রতি ঘণ্টায়  লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছাড়তে থাকে।  মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এই রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ এখন এ রুটে যাতায়াত করে। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমুখী মানুষগুলো নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছে। রায়পুর থেকে আসা যাত্রী সোহেল খান জানান, সিডিউল সময়ে ও নিয়মানুযায়ী লঞ্চগুলো আগের তুলনায় অধিক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে। প্রতি ঘণ্টায় লঞ্চ রয়েছে। সে কারণে আমরা ইচ্ছা করেই ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে উঠিনি। ঢাকাগামী আরও কয়েকজন যাত্রী দ্রুত কর্মস্থলে যাওয়া প্রয়োজন বলে জানান। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে ঢাকায় যাবে না। সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। প্রয়োজনে পরবর্তী লঞ্চে যাত্রা করবে। তারপরও ঝুঁকি নিবে না। চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক অতিরিক্ত যাত্রী বহন সম্পর্কে জানান, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যাতে কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে না যেতে পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ বেড়েছে মঙ্গলবার থেকেই। এ ঘাটের যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ,  কোস্টগার্ড, স্কাউট সদস্যসহ আমাদের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর