আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছেন ৭৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ঈদ উৎসব ভাতা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এ অভিযোগ করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, এমনিতেই আমাদের নিয়মিত ভাতার তিন মাস বকেয়া পড়েছে। বলা হচ্ছে ডিসি সাহেব বিদেশ রয়েছেন, তাই ভাতার বিল অনুমোদন সম্ভব হচ্ছে না। এটা কী ধরনের যুক্তি! ডিসি এক বছর যদি জেলায় না থাকেন জেলার প্রশাসন কি স্থগিত হয়ে থাকবে? তারা বলেন, নিয়মিত ভাতার দেখা নেই, উৎসব ভাতারও খবর নেই। নোয়াখালী সদর উপজেলায় ৭৩১ জন মুক্তিযোদ্ধার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উৎসব ভাতা হিসেবে মোট ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। তারা বলেন, কিন্তু এজি অফিস ও প্রশাসনের অদক্ষতাজনিত জটিলতার কারণে উৎসব ভাতার জন্য মাত্র ৭ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, প্রাপ্য টাকার অঙ্ক কী কারণে ৬৬ লাখ কমে গেল? যারা এজন্য দায়ী তাদের শাস্তি চাই আমরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যে শক্তি বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘাপটি মেরে আছে তাদের কারসাজিতেই বার বার মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
তারা ঘোষণা করেন, ঈদের আগে উৎসব ভাতা না পেলে প্রয়োজনে তারা মানববন্ধন ও সমাবেশ করবেন। প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, সাবেক বৃহত্তর নোয়াখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানুর রহমান, সাবেক জেলা কমান্ডার মিয়া মো. শাহজাহান, মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন, কামাল উদ্দিন, আবুল খায়ের ও লুৎফর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু ইউসুফ বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।