শিরোনাম
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফসলি জমিতে একের পর এক ইটভাটা

মাগুরা প্রতিনিধি

ফসলি জমিতে একের পর এক ইটভাটা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাগুরায় তিন ফসলি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠছে ইটভাটা। এতে একদিকে কৃষি জমি কমছে, অন্যদিকে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে মাগুরা সদর, মহম্মদপুর, শ্রীপুর ও শালিখা উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ৭২টি। এর মধ্যে অন্তত ৫০টি ভাটা গড়ে উঠেছে তিন ফসলি জমিতে।  সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম, বাচ্চু, গোলজার, মোহাম্মদ শেখ জানান, লস্করপুর মাঠে তাদের ফসলি জমিতে ‘ফাতেমা ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে এখানে ইটভাটা করবে, সেজন্য তাদের কাছে জমি ইজারা দিতে হবে। চলতি ফসল উঠে গেলে যেন নতুন করে কোনো ফসল আবাদ না করি। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন ফসলি জমির ফসল দিয়েই আমরা ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ সাংসারিক চাহিদা মেটাই। জোর করে নামমাত্র ইজারার মাধ্যমে এ জমি লিজ নিয়ে ইটভাটা করলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। নষ্ট হবে আশপাশের জমিও।’ ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন। মাগুরা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন ফসলি জমিতে কোনো ইন্ডাস্ট্রি বা ইটভাটা করা যাবে না। বিষয়টি জেলার প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান জানান, তিন ফসলি জমিতে যাতে কোনো ইটভাটা গড়ে উঠতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনই নির্দেশ বলে মনে করি।

সর্বশেষ খবর