কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় ‘লালমাই’ ও ‘আলীশহর’ নামে দুটি রেল স্টেশন রয়েছে। এরপরও ট্রেনের সুবিধা পায় না এখানকার মানুষ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের হাতেগড়া উপজেলা লালমাইয়ে যাত্রবিরতি নেই রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কোনো আন্তনগর ট্রেনের। আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে যাতায়াতের জন্য লালমাইবাসীকে কুমিল্লা বা লাকসাম জংশনের ওপর নির্ভর করতে হয়। জানা যায়, লালমাই স্টেশনে একজন স্টেশন মাস্টার, দুজন সহকারী স্টেশন মাস্টারসহ ১৫ জন স্টাফ রয়েছে। এরপরও এখান থেকে ট্রেনে যাত্রী পরিবহনে আয় করতে পারছে না। লালমাইয় স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রা বিরতি দিলে উপকৃত হবেন বরুড়া উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার একাংশ। পাশাপাশি বাড়বে রেলের আয়। আলীশহর স্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এখানকার মানুষও ট্রেনসুবিধা সেবা পুরোপুরি বঞ্চিত। লালমাই রেল স্টেশনে চট্টগ্রামগামী দুটি মেইল ট্রেন ডাউন ট্রিপে যাত্রাবিরতি দেয়। কিন্তু এর নির্ধারিত কোনো শিডিউল না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। আর কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর ও নোয়াখালীগামী ডেমু কমিউটার এখানে যাত্রাবিরতি করলেও এ দুটি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে না। এলাকাবাসীর দাবি, লালমাই উপজেলার দুটি স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন যেন যাত্রাবিরতি করে। এতে একদিকে যেমন উপকৃত হবে এখানকার জনগণ তেমনি লাভবান হবে রেলওয়ে। রেলের পূর্বাঞ্চলের এডিজি (অপারেশন) মিয়া জাহান বলেন, ডবল লাইন চালু হলে এবং ট্রেন সংখ্যা বাড়লে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি হতে পারে।’