শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরিকল্পিত সংযোগ ঝুঁকিতে কয়েকশ পরিবার

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

অপরিকল্পিত সংযোগ ঝুঁকিতে কয়েকশ পরিবার

ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ কিংবা বড় ট্রলার সংস্কারের (রিপিয়ারিং) উদ্দেশ্যে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা ডকে অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকশ পরিবার। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। ডক মালিকরা বলছেন, বিদ্যুৎ বিভাগ টাকা নিলেও ডক পর্যন্ত খুঁটি না দেওয়ায় এমন বেহাল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে ডক পর্যন্ত। আর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা দোষ চাপাচ্ছেন একে অপরের ওপর। ফরিদপুর নদীবন্দর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আদমপুরে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ সংস্কারের জন্যে গড়ে উঠেছে ১০টি ডক। এসব ডকে সংযোগ দেওয়া বিদ্যুতের মিটার ডক থেকে কয়েকশ মিটার দূরে জনবহুল এলাকায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। পদ্মাতীরের বালুর মধ্যে খোলামেলাভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছে বিদ্যুতের তার। স্থানীয়দের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রতিবাদ করে তারা টিকতে পারেননি প্রভাবশালী ডক মালিক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামনে। এমন অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ এবং শঙ্কিত। স্থানীয়দের দাবি, বাড়িঘরের পাশেই এলোমেলোভাবে থাকা তারের পাশে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে আশপাশের পরিবারের শিশুরা। তাই যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে ৪২০ ভোল্টের এসব তার বাড়ির পাশ ও বালুচরজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় বড়রাও রয়েছেন দুর্ঘটনার শঙ্কায়। ডক মালিক আবদুল কাদের জানান, বাড়িঘর সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুতের মেইন সুইচবোর্ড রেখে সাইডলাইন নিয়ে কাজ করছেন তারা, যা রাতের বেলা খুলে রাখা হচ্ছে। এমন অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে কোনো দুর্ঘটনার দায় নিতে চান না তারা। ওজোপাডিকোর লাইনম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, উপসহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে এ লাইন দেওয়া হয়েছে। আর ওই অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন জানান, আমার মিটার সংযোগ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে সংযোগ দিয়েছি। ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ প্রধান জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে খুঁটি দিয়ে নিরাপদভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। এরই মধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর