বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

নেতাশূন্য শার্শা, ভরসা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

বেনাপোল প্রতিনিধি

নেতাশূন্য শার্শা, ভরসা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সরকারের পক্ষ থেকে ছুটি ঘোষণার পর সারা দেশের মতো যশোরের শার্শার খেটে খাওয়া মানুষও নিজেদের গৃহবন্দী করে ফেলেছেন। এরপর থেকে অনেকটা নেতাশূন্য হয়ে পড়েছে শার্শা উপজেলা। যে সব নেতার পোস্টারে ছেয়ে আছে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই পাশ। যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সামনের কাতারে থাকতেন। তাদের দেশের ক্রান্তিলগ্নে পাশে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শার্শার সাধারণ জনগণ। এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে স্যোশাল মিডিয়ায়। কয়েকজন নেতা বা বিভিন্ন সংগঠন থেকে দরিদ্রদের সাহায্য দেওয়া হলেও তা সেলফির ভিড়ে ম্লান হচ্ছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করবে-এমন নেতার যেন বড়ই অভাব পড়েছে শার্শা উপজেলায়। অনেকে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, ‘অমুক ভাই, তমুক ভাই, তাদের এখন দেখা নাই’। ‘কোথায় গেল রাস্তার দুই ধারে পোস্টার লাগানো নেতারা’। ‘করোনার ভয়ে গাঁঢাকা দিয়েছে নেতারা’। তবে, ‘ঘরে থাকার তৃতীয় দিনে’ যশোরের শার্শা উপজেলার এক হাজার দুস্থ পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের ভ্যানচালক খয়রাত আলী (৪৮) বলেন, ‘এখন ভ্যান চালাতি পারছি নে, আয় রোজগার নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদান আমার জন্যি আশীর্বাদ। অন্তত ছেলেপিলে নিয়ে দুমুঠো খাওয়ার ব্যবস্থা হলো।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজার পলাশ চন্দ্র মন্ডলকে ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এক হাজার দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু ও একটা সাবান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর