ঠাকুরগাঁওয়ে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে টোল আদায়ের নামে অটো চার্জার (ব্যাটারিচালিত) ও ট্রাকে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০টি পয়েন্টে লাঠি হাতে ট্রাক ও অটোবাইক আটকিয়ে জবরদস্তি টোল আদায়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি। শুধু ঠাকুরগাঁও পৌর শহরেই নয়, জেলার পাঁচ উপজেলার সব সড়কেই এখন বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রকাশ্যে চলছে এসব। সদর পৌর শহরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সমাজকল্যাণসহ বিভিন্ন তহবিলের নামে চালকদের থেকে চাঁদা আদায় করছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, একজন শ্রমিক সারা দিন গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন করেন তা থেকে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আর মালিকের পাওনা শোধ করে তেমন কিছু টেকে না। চাঁদা দিতে না চাইলে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব আলম রুবেল জানান, প্রতিদিন গড়ে অটো চার্জার প্রতি রশিদ ১০ টাকা হারে ৫ হাজার চালকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা ওঠানো হয়; যা মাসে ১৫ লাখ আর বছরে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্রতিটি ট্রাক ও ট্যাংলরির কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে।
ভুক্তভোগী শ্রমিক বেলাল হোসেন জানান, করোনার জন্য প্রায় দুই মাস তারা রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারেননি। লকডাউন শিথিল হলে রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই নেই। পুলিশ প্রশাসন সব দেখেও চুপ থাকছে। শ্রমিক আনোয়ার হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রমিকরা এখন চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। রাস্তায় গাড়ি নামালেই দিতে হয় চাঁদা। জেলা অটোচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম লাবু জানান, সড়কে লাঠি হাতে জোর করে চাঁদা ওঠানো হয়। না পেলে শ্রমিকদের নির্যাতন করা হয়।